Sunday, July 29, 2018

আলু চিংড়ি দিয়ে ব্রকলির ঝোল

আলু চিংড়ি দিয়ে ব্রকলির ঝোল 


"পুষ্টিগুণে ভরা ব্রকলি" 

পুষ্টিগুনঃ 

প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রকলিতে থাকে ৩২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। এছাড়াও এতে ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন ও ০.১ গ্রাম চর্বি থাকে।

ব্রকলিতে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম ব্রকলি থেকে ১৫০ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এতে ৫.৫ গ্রাম শর্করা বা কার্বহাইড্রেট ও ১.৬ মি.গ্রাম লৌহ পাওয়া যায়।

ব্রকলিতে ভিটামিন বি-১, বি-২ ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রকলিতে ০.১৬ মি.গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.৯১ মি.গ্রাম বি-২ ও ১১৮ মি.গ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ব্রকলির রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।

- এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

- ভিটামিন সি থাকায় এটি ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

- ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় এটি হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করে।

- ব্রকলি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।

- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলোস্টেরলের মাত্রা কমাতে ব্রকলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। (সংগ্রহঃ www.bdnews24.com)

চুলুন, দেখে নেয়া যাক ব্রকলি দিয়ে তৈরি একটি রেসিপিঃ  


উপকরনঃ


১। ব্রকলি-১ টি মাঝারি সাইজ

২। আলু-২ টি মাঝারি সাইজ

৩। টমেটো-২ টি

৪। চিংড়ি মাছ-৬ টি মাঝারি সাইজ

৫। হলুদ, মরিচ, জিরা গুড়া-১/২ চা চামচ প্রতিটি

৬। রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ

৭। কাঁচা মরিচ-৩ থেকে ৪ টা

৮। লবন-স্বাদমত

৯। পানি-১কাপ

১০। তেল-১ টেবিল চামচ

১১। পেঁয়াজ-১টি


রন্ধন প্রনালীঃ


একটি প্যানে তেল গরম করে একে একে পেঁয়াজ, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, জিরা গুঁড়া এবং লবন দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। এরপর চিংড়ি, আলু ও ব্রকলি ছোট করে কেটে সেগুলো প্যানে ধেলে দিন। ভাল করে নেড়েচেড়ে মসলা মিশিয়ে নিন, এবার ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিটের মত কষিয়ে নিন। ভাল করে কষানো হয়ে গেলে টমেটো, কাঁচা মরিচ ও পানি দিয়ে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করন। কিছুক্ষণ পর স্বাদ চলে এলে নামিয়ে নিন। ভাত, রুটি অথবা পরটার সাথে পরিবেশন করন গরম গরম আলু চিংড়ির ব্রকলি ঝোল তরকারি।


"রেসিপিটি আপনাদের পছন্দ হলে অবশ্যই তৈরি করবেন এবং আমার ফেসবুক পেজে কেমন লাগলো শেয়ার করবেন। পেজ লিঙ্কঃ https://fb.me/FoodandCuisine"




Saturday, July 28, 2018

নিজেই তৈরি করুন আলুর চিপ্‌স

আলুর চিপ্

ঘরে তৈরি আলুর চিপ্

চিপ্‌স এমন একটি খাবার যা ছোট থেকে বড় সবাই পছন্দ করে। কিন্তু, বাজার বা সুপার শপগুলোতে যেসব চিপ্‌স পাওয়া যায় তাতে নানান ধরনের কেমিক্যাল থেকে শুরু করে মানবদেহের জন্য  ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যা খেলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই ঘরে যদি খুব সহজে চিপ্‌স বানানো যায় তাহলে সবদিক থেকে নিরাপদ থাকা যায় এবং খেতেও খুব মজাদার হয়।নিচে সেরকমই একটি সহজ পদ্ধতি এবং কম সময়ে প্রস্তুত করা যায় এমন একটি রেসিপি দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই বানাবেন এবং রেসিপিটি শেয়ার করবেন। (আমার ফেসবুক পেজঃ https://fb.me/FoodandCuisine ) 


প্রস্তুত প্রণালী

ঘরেই তৈরি করুন দোকানের স্বাদের মজাদার আলুর চিপ্ বড় সাইজের ২ টি আলু নিয়ে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে স্লাইস করে নিন আলুর স্লাইসগুলো ভালোভাবে কয়েকবার ধুয়ে নিতে হবে যতক্ষণ না পরিষ্কার পানি ধোয়ার সময় বের হয় এরপর পানি ভালোভাবে ঝাড়িয়ে স্লাইসগুলোকে বড় প্লেট বা সমান ছড়ানো জায়গায় নিয়ে বাতাসে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন এই সময় এতে কোন মসলা মিশনো লাগবে না
[টিপসঃ এই ধাপে যদি মসলা বা লবন মেখে ভাজা হয়, তাহলে ভাজার পরপরই মচমচে থাকবে কিন্তু কয়েক মিনিট পরই তা নরম হয়ে যায়]

শুকনো আলুর স্লাইসগুলোকে ডুবোতেলে মিডিয়াম থেকে কম আঁচে ভেজে নিন ভাজা হয়ে গেলে ভাল করে তেল ঝরিয়ে একটি বোলে/বাটিতে তুলে সাথে সাথে স্বাদমত লবন এবং মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এটিকে বায়ুরোধী কৌটায় ভরে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়

বাচ্চাদের জন্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে শুধু লবন দেয়াই শ্রেয়।