Friday, August 24, 2018

গরু মাংসের কালা ভুনা


কালা ভুনার নাম শুনলেই যেন জিভে পানি এসে যায়। রান্নার পর গোস্তের রঙ কালো হয় বলেই হয়তো এর নাম বলা হয় কালো/কালা ভুনা। চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরে বসেই কিভাবে সহজেই তৈরি করবেন সুস্বাদু এই খাবারটি। 

উপকরণঃ


১। গরু মাংস-২ কেজি (হাড়, চর্বিসহ)

২। পেঁয়াজ বেরেস্তা-১ কাপ

৩। পেঁয়াজ কুচি- ১কাপ

৪। আদা বাটা-২ টেবিল চামচ

৫। রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ

। আস্ত গোল মরিচ-১০ টি

৭। আস্ত এলাচ- ৫/৬ টি

৮। তেজপাতা- ৩ টি

৯। লং-৬ টি

১০। দারুচিনি- ১০ টি

১১। বড় এলাচ-৩ টি

১২। স্টার এনিস মশলা-৪ টি

১৩। হলুদ গুঁড়া -১/২ চা চামচ

১৪। মরিচ গুঁড়া – ২ টেবিল চামচ

১৫। ধনে গুঁড়া – ২ টেবিল চামচ

১৬। ভাঁজা জীরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

১৭। গোল মরিচ গুঁড়া – ১/২  চা চামচ

১৮। রাঁধুনি মশলার গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

১৯। গরম মশলার গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

২০। ১ টি জয়ফল বাটা

২১। ৩-৪ টি জয়ত্রি বাটা

২২। লবন-১ টেবিল চামচ

২৩। তেল-১ কাপ

রাগারের জন্যঃ


১। সরিষার তেল- ১ কাপ

২। পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ

৩। রসুন কুচি – ১ টেবিল চামচ

৪। আদা কুচি – ১ টেবিল চামচ

৫। শুকনা মরিচ – ১০/১২ টি

প্রস্তুত প্রণালীঃ


মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তেল বাদে উপরের সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। একটি পাত্রে তেল গরম করে মাখানো মাংস ঘেলে দিয়ে ৫ মিনিট ভেঁজে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মাংস থেকে ঝোল বের হলে তাতে আরও ২ কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা চাপিয়ে মাংস সিদ্ধ হতে দিন। মাংস সিদ্ধ হবার পাশাপাশি ঝোল শুকিয়ে মাখা মাখা হলে অপর একটি চুলায় কুসম গরম তেলে আদা, রসুন, পেঁয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচ দিয়ে হাল্কা সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভেঁজে নিন। এই বাগারটি তৈরি হয়ে গেলে মাংসে ধেলে ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট অপেক্ষা করুন।এবার মাংসগুলোকে নেড়ে নেড়ে ভাঁজতে থাকুন তেল ওঠা পর্যন্ত। নামানোর পূর্বে আধা চা চামচ গরম মশলার গুঁড়া দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার ও ঐতিহ্যবাহী গরু মাংসের কালা ভুনা। 

রেসিপিটি পছন্দ হলে অবশ্যই বানাবেন এবং কেমন লাগলো তা লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে জানাতে পারেন আমার ফেসবুক পেজ এ। পেজ লিঙ্কঃ
https://fb.me/FoodandCuisine



Thursday, August 9, 2018

মজাদার চিকেন শাশলিক


রেসিপির নামঃ চিকেন শাশলিক

চিকেন শাশলিক

শাশলিক, এমন একটি খাবার যা পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। যেকোনো ধরনের মাংস দিয়ে সেটা করা যায়। কিউব সাইজ করে কাঠিতে গেঁথে গ্রিল করে খাওয়ার রীতিটাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। উৎপত্তিথল হিসেবে এটা টার্কিশ খাবারের অন্তর্ভুক্ত হলেও পৃথিবীর প্রায় সবদেশে আজকাল এটা পাওয়া যায়। দেশভেদে এর তৈরি করার রেসিপি ভিন্ন রকম হয়। আজকে আমি আমার মত করে একটি রেসিপি দিয়েছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।  

উপকরণঃ


১। চিকেন ব্রেস্ট পিস কিউব করে কাটা- দেড় কাপ
২। আদা বাটা- ১ চা চামচ
৩। রসূন বাটা- ১/২ চা চামচ
৪। জিরা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
৫। মরিচ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
৬। ধনিয়া গুঁড়ো-১/২ চা চামচ
৭। গরম মসলার গুঁড়ো-১/২ চা চামচ
৮। সয়া সস- ১ টেবিল চামচ
৯। টমেটো সস- ১ টেবিল চামচ
১০। লেবুর রস- ১ টেবিল চামচ
১১। গোলমরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
১২। লবণ- স্বাদমত
১৩। সবুজ ক্যাপসিকাম- কিউব করে কাটা ১টি
১৪। টমেটো- কিউব করে কাটা ২টি
১৫। পেঁয়াজ মিডিয়াম সাইজ কিউব করে কাটা- ১ টি
১৬। সরিষার তেল- ২ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালীঃ

- একটি বড় বাটিতে একে একে সব মশলা, সয়া সস, লবন,সরিষার
তেল ও চিকেন কিউব দিয়ে ভালকরে মিশিয়ে নিন। এবার এক ঘণ্টা মেরিনেট হতে দিন।

- এক ঘণ্টা পর এতে ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে আবার মিশিয়ে নিন। যাতে মশলা, ভেজিটেবলস এর গায়েও লাগে।

- এবার শাশলিকের কয়েকটি কাঠি নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে শাশলিক ভাঁজার সময় কাঠি পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

- এবার কাঠিতে এক এক করে চিকেন, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম,টমেটো কাঠির শেষ পর্যন্ত গেঁথে নিন।


- একটি ননস্টিক প্যান নিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম করে নিন। একটি একটি করে শাশলিক দিয়ে দিন। উল্টেপাল্টে শাশলিক ভেঁজে নিন। ভাঁজার সময় মিডিয়াম আঁচ থাকবে।

- ১০-১৫ মিনিট চারপাশ ঘুরিয়ে ভালকরে ভেঁজে নিন। এবার      নামিয়ে পোলাও, নুডুলস অথবা পরোটার সাথে গরম গরম  পরিবেশন করুন।
  

"রেসিপিটি আপনাদের পছন্দ হলে অবশ্যই তৈরি করবেন এবং আমার ফেসবুক পেজে কেমন লাগলো শেয়ার করবেন। পেজ লিঙ্কঃ https://fb.me/FoodandCuisine"