Saturday, September 1, 2018

জালি কাবাব

জালি কাবাব


কাবাব, বাংলার রসনা বিলাসের একটি অন্যতম জায়গা দখল করে আছে। বিভিন্ন ধরনের কাবাবের মধ্যে জালি কাবাব একটি সহজ ও মজাদার আইটেম যা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিয়ে বা অন্য যে কোন বাঙালি অনুষ্ঠানে থাকেই। চিকেন বা বিফ দিয়ে তৈরি জালি কাবাবই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আজ আমি আপনাদের জালি কাবাবের খুবই সহজ একটি রেসিপি বলছি।  

উপকরণঃ


১। মাংসের কিমা (চিকেন/বিফ/মাটন) – ১/২ কেজি

২। পেঁয়াজ কুচি-১/২ কাপ

৩। টমেটো সস- ২ টেবিল চামচ

৪। মরিচের গুঁড়া-১/২ চা চামচ

৫। দারুচিনি গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

৬। এলাচি গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

৭। ভাঁজা জিরা গুঁড়া- ১/২ চা চামচ

৮। গোল মরিচ গুরা-১/২ চা চামচ

৯। জয়ত্রি গুঁড়া- ১/৪ চা চামচ

১০। কাঁচা মরিচ কুচি- স্বাদমত

১১। পুদিনা পাতা কুচি- ২ টেবিল চামচ

১২। লবন- স্বাদমত

১৩। ডিম- ২ টি

১৪। পাউরুটি – ১ পিছ

১৫। টোস্ট বিস্কিট গুঁড়া- ২/৩ কাপ

১৬। ভাঁজার জন্য তেল

প্রস্তুত প্রণালীঃ



একটি পাত্রে কিমা নিয়ে একে একে সব মশলা, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, পুদিনা পাতা কুচি, টমেটো সস এবং একটি ডিম দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তারপর পাউরুটিটি ভিজিয়ে নিয়ে পানি ভালোভাবে নিঙরে নিন। পাউরুটি ও বিস্কিট গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়ে সেটা গোল গোল করে কাবাবের সেপ করে নিতে হবে। মনে রাখবেন, কাবাবের ময়ানটি যেন বেশি শক্ত বা বেশি নরম না হয়ে যায়।  একটি বাটিতে আরেকটি ডিম ভাল করে ফেটে নিন। কাবাবগুলোকে ডুবো তেলে ভাঁজার জন্য একটি পাত্রে পরিমানমত তেল গরম করে নিন। এবার প্রতিটি কাবাব ডিমে মাখিয়ে এক এক করে তেলে ছেড়ে দিন। মিডিয়াম আঁচে কাবাবগুলোকে ভেঁজে তুলুন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন। 

রেসিপিটি পছন্দ হলে অবশ্যই বানাবেন এবং কেমন লাগলো তা লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে জানাতে পারেন আমার ফেসবুক পেজ এ। পেজ লিঙ্কঃ

https://fb.me/FoodandCuisine

Friday, August 24, 2018

গরু মাংসের কালা ভুনা


কালা ভুনার নাম শুনলেই যেন জিভে পানি এসে যায়। রান্নার পর গোস্তের রঙ কালো হয় বলেই হয়তো এর নাম বলা হয় কালো/কালা ভুনা। চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরে বসেই কিভাবে সহজেই তৈরি করবেন সুস্বাদু এই খাবারটি। 

উপকরণঃ


১। গরু মাংস-২ কেজি (হাড়, চর্বিসহ)

২। পেঁয়াজ বেরেস্তা-১ কাপ

৩। পেঁয়াজ কুচি- ১কাপ

৪। আদা বাটা-২ টেবিল চামচ

৫। রসুন বাটা- ১ টেবিল চামচ

। আস্ত গোল মরিচ-১০ টি

৭। আস্ত এলাচ- ৫/৬ টি

৮। তেজপাতা- ৩ টি

৯। লং-৬ টি

১০। দারুচিনি- ১০ টি

১১। বড় এলাচ-৩ টি

১২। স্টার এনিস মশলা-৪ টি

১৩। হলুদ গুঁড়া -১/২ চা চামচ

১৪। মরিচ গুঁড়া – ২ টেবিল চামচ

১৫। ধনে গুঁড়া – ২ টেবিল চামচ

১৬। ভাঁজা জীরা গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

১৭। গোল মরিচ গুঁড়া – ১/২  চা চামচ

১৮। রাঁধুনি মশলার গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

১৯। গরম মশলার গুঁড়া – ১/২ চা চামচ

২০। ১ টি জয়ফল বাটা

২১। ৩-৪ টি জয়ত্রি বাটা

২২। লবন-১ টেবিল চামচ

২৩। তেল-১ কাপ

রাগারের জন্যঃ


১। সরিষার তেল- ১ কাপ

২। পেঁয়াজ কুচি – ১/২ কাপ

৩। রসুন কুচি – ১ টেবিল চামচ

৪। আদা কুচি – ১ টেবিল চামচ

৫। শুকনা মরিচ – ১০/১২ টি

প্রস্তুত প্রণালীঃ


মাংস ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে তেল বাদে উপরের সব উপকরণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। একটি পাত্রে তেল গরম করে মাখানো মাংস ঘেলে দিয়ে ৫ মিনিট ভেঁজে ঢাকনা দিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মাংস থেকে ঝোল বের হলে তাতে আরও ২ কাপ পানি দিয়ে ঢাকনা চাপিয়ে মাংস সিদ্ধ হতে দিন। মাংস সিদ্ধ হবার পাশাপাশি ঝোল শুকিয়ে মাখা মাখা হলে অপর একটি চুলায় কুসম গরম তেলে আদা, রসুন, পেঁয়াজ কুচি ও শুকনা মরিচ দিয়ে হাল্কা সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভেঁজে নিন। এই বাগারটি তৈরি হয়ে গেলে মাংসে ধেলে ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিট অপেক্ষা করুন।এবার মাংসগুলোকে নেড়ে নেড়ে ভাঁজতে থাকুন তেল ওঠা পর্যন্ত। নামানোর পূর্বে আধা চা চামচ গরম মশলার গুঁড়া দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল মজাদার ও ঐতিহ্যবাহী গরু মাংসের কালা ভুনা। 

রেসিপিটি পছন্দ হলে অবশ্যই বানাবেন এবং কেমন লাগলো তা লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে জানাতে পারেন আমার ফেসবুক পেজ এ। পেজ লিঙ্কঃ
https://fb.me/FoodandCuisine



Thursday, August 9, 2018

মজাদার চিকেন শাশলিক


রেসিপির নামঃ চিকেন শাশলিক

চিকেন শাশলিক

শাশলিক, এমন একটি খাবার যা পূর্ব ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ায় খুবই জনপ্রিয়। যেকোনো ধরনের মাংস দিয়ে সেটা করা যায়। কিউব সাইজ করে কাঠিতে গেঁথে গ্রিল করে খাওয়ার রীতিটাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। উৎপত্তিথল হিসেবে এটা টার্কিশ খাবারের অন্তর্ভুক্ত হলেও পৃথিবীর প্রায় সবদেশে আজকাল এটা পাওয়া যায়। দেশভেদে এর তৈরি করার রেসিপি ভিন্ন রকম হয়। আজকে আমি আমার মত করে একটি রেসিপি দিয়েছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে।  

উপকরণঃ


১। চিকেন ব্রেস্ট পিস কিউব করে কাটা- দেড় কাপ
২। আদা বাটা- ১ চা চামচ
৩। রসূন বাটা- ১/২ চা চামচ
৪। জিরা গুঁড়ো - ১/২ চা চামচ
৫। মরিচ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ
৬। ধনিয়া গুঁড়ো-১/২ চা চামচ
৭। গরম মসলার গুঁড়ো-১/২ চা চামচ
৮। সয়া সস- ১ টেবিল চামচ
৯। টমেটো সস- ১ টেবিল চামচ
১০। লেবুর রস- ১ টেবিল চামচ
১১। গোলমরিচ গুঁড়া- ১/২ চা চামচ
১২। লবণ- স্বাদমত
১৩। সবুজ ক্যাপসিকাম- কিউব করে কাটা ১টি
১৪। টমেটো- কিউব করে কাটা ২টি
১৫। পেঁয়াজ মিডিয়াম সাইজ কিউব করে কাটা- ১ টি
১৬। সরিষার তেল- ২ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালীঃ

- একটি বড় বাটিতে একে একে সব মশলা, সয়া সস, লবন,সরিষার
তেল ও চিকেন কিউব দিয়ে ভালকরে মিশিয়ে নিন। এবার এক ঘণ্টা মেরিনেট হতে দিন।

- এক ঘণ্টা পর এতে ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ ও টমেটো দিয়ে আবার মিশিয়ে নিন। যাতে মশলা, ভেজিটেবলস এর গায়েও লাগে।

- এবার শাশলিকের কয়েকটি কাঠি নিয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে করে শাশলিক ভাঁজার সময় কাঠি পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

- এবার কাঠিতে এক এক করে চিকেন, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম,টমেটো কাঠির শেষ পর্যন্ত গেঁথে নিন।


- একটি ননস্টিক প্যান নিয়ে তাতে ২ টেবিল চামচ তেল দিয়ে গরম করে নিন। একটি একটি করে শাশলিক দিয়ে দিন। উল্টেপাল্টে শাশলিক ভেঁজে নিন। ভাঁজার সময় মিডিয়াম আঁচ থাকবে।

- ১০-১৫ মিনিট চারপাশ ঘুরিয়ে ভালকরে ভেঁজে নিন। এবার      নামিয়ে পোলাও, নুডুলস অথবা পরোটার সাথে গরম গরম  পরিবেশন করুন।
  

"রেসিপিটি আপনাদের পছন্দ হলে অবশ্যই তৈরি করবেন এবং আমার ফেসবুক পেজে কেমন লাগলো শেয়ার করবেন। পেজ লিঙ্কঃ https://fb.me/FoodandCuisine"

Sunday, July 29, 2018

আলু চিংড়ি দিয়ে ব্রকলির ঝোল

আলু চিংড়ি দিয়ে ব্রকলির ঝোল 


"পুষ্টিগুণে ভরা ব্রকলি" 

পুষ্টিগুনঃ 

প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রকলিতে থাকে ৩২ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি। এছাড়াও এতে ৩.৩ গ্রাম প্রোটিন ও ০.১ গ্রাম চর্বি থাকে।

ব্রকলিতে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় ও দাঁত সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম ব্রকলি থেকে ১৫০ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। এতে ৫.৫ গ্রাম শর্করা বা কার্বহাইড্রেট ও ১.৬ মি.গ্রাম লৌহ পাওয়া যায়।

ব্রকলিতে ভিটামিন বি-১, বি-২ ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ গ্রাম ব্রকলিতে ০.১৬ মি.গ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.৯১ মি.গ্রাম বি-২ ও ১১৮ মি.গ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়।

ব্রকলির রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।

- এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

- ভিটামিন সি থাকায় এটি ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

- ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় এটি হাড়ের সুস্থতা রক্ষা করে।

- ব্রকলি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ভালো উৎস। এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে।

- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং কোলোস্টেরলের মাত্রা কমাতে ব্রকলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। (সংগ্রহঃ www.bdnews24.com)

চুলুন, দেখে নেয়া যাক ব্রকলি দিয়ে তৈরি একটি রেসিপিঃ  


উপকরনঃ


১। ব্রকলি-১ টি মাঝারি সাইজ

২। আলু-২ টি মাঝারি সাইজ

৩। টমেটো-২ টি

৪। চিংড়ি মাছ-৬ টি মাঝারি সাইজ

৫। হলুদ, মরিচ, জিরা গুড়া-১/২ চা চামচ প্রতিটি

৬। রসুন বাটা-১ টেবিল চামচ

৭। কাঁচা মরিচ-৩ থেকে ৪ টা

৮। লবন-স্বাদমত

৯। পানি-১কাপ

১০। তেল-১ টেবিল চামচ

১১। পেঁয়াজ-১টি


রন্ধন প্রনালীঃ


একটি প্যানে তেল গরম করে একে একে পেঁয়াজ, রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, জিরা গুঁড়া এবং লবন দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন। এরপর চিংড়ি, আলু ও ব্রকলি ছোট করে কেটে সেগুলো প্যানে ধেলে দিন। ভাল করে নেড়েচেড়ে মসলা মিশিয়ে নিন, এবার ঢাকনা দিয়ে ২ মিনিটের মত কষিয়ে নিন। ভাল করে কষানো হয়ে গেলে টমেটো, কাঁচা মরিচ ও পানি দিয়ে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করন। কিছুক্ষণ পর স্বাদ চলে এলে নামিয়ে নিন। ভাত, রুটি অথবা পরটার সাথে পরিবেশন করন গরম গরম আলু চিংড়ির ব্রকলি ঝোল তরকারি।


"রেসিপিটি আপনাদের পছন্দ হলে অবশ্যই তৈরি করবেন এবং আমার ফেসবুক পেজে কেমন লাগলো শেয়ার করবেন। পেজ লিঙ্কঃ https://fb.me/FoodandCuisine"




Saturday, July 28, 2018

নিজেই তৈরি করুন আলুর চিপ্‌স

আলুর চিপ্

ঘরে তৈরি আলুর চিপ্

চিপ্‌স এমন একটি খাবার যা ছোট থেকে বড় সবাই পছন্দ করে। কিন্তু, বাজার বা সুপার শপগুলোতে যেসব চিপ্‌স পাওয়া যায় তাতে নানান ধরনের কেমিক্যাল থেকে শুরু করে মানবদেহের জন্য  ক্ষতিকর পদার্থ থাকে যা খেলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। তাই ঘরে যদি খুব সহজে চিপ্‌স বানানো যায় তাহলে সবদিক থেকে নিরাপদ থাকা যায় এবং খেতেও খুব মজাদার হয়।নিচে সেরকমই একটি সহজ পদ্ধতি এবং কম সময়ে প্রস্তুত করা যায় এমন একটি রেসিপি দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনাদের ভাল লাগলে অবশ্যই বানাবেন এবং রেসিপিটি শেয়ার করবেন। (আমার ফেসবুক পেজঃ https://fb.me/FoodandCuisine ) 


প্রস্তুত প্রণালী

ঘরেই তৈরি করুন দোকানের স্বাদের মজাদার আলুর চিপ্ বড় সাইজের ২ টি আলু নিয়ে ভালোভাবে খোসা ছাড়িয়ে পাতলা করে স্লাইস করে নিন আলুর স্লাইসগুলো ভালোভাবে কয়েকবার ধুয়ে নিতে হবে যতক্ষণ না পরিষ্কার পানি ধোয়ার সময় বের হয় এরপর পানি ভালোভাবে ঝাড়িয়ে স্লাইসগুলোকে বড় প্লেট বা সমান ছড়ানো জায়গায় নিয়ে বাতাসে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন এই সময় এতে কোন মসলা মিশনো লাগবে না
[টিপসঃ এই ধাপে যদি মসলা বা লবন মেখে ভাজা হয়, তাহলে ভাজার পরপরই মচমচে থাকবে কিন্তু কয়েক মিনিট পরই তা নরম হয়ে যায়]

শুকনো আলুর স্লাইসগুলোকে ডুবোতেলে মিডিয়াম থেকে কম আঁচে ভেজে নিন ভাজা হয়ে গেলে ভাল করে তেল ঝরিয়ে একটি বোলে/বাটিতে তুলে সাথে সাথে স্বাদমত লবন এবং মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এটিকে বায়ুরোধী কৌটায় ভরে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়

বাচ্চাদের জন্য পরিবেশনের ক্ষেত্রে শুধু লবন দেয়াই শ্রেয়।